ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ডাকাতি প্রতিরোধে গ্রামবাসীর সঙ্গে উদ্যোগ নেওয়ায় আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে ডাকাত সর্দার ইদ্রিসের নেতৃত্বে একদল ডাকাত।
গতকাল বুধবার (৭মে) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ কদমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুর রহিম ধর্মতীর্থ দৌলত পাড়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হামলার বিষয়ে আহত আব্দুর রহিম বলেন, আমি সরাইল সদরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার সময়ে ডাকাত সর্দার ইদ্রিস এর নেতৃত্বে হীরা, কালু’সহ প্রায় ১০ জন ডাকাত আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পরে। এসময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আমাকে এলোপাতাড়ি কুপানো শুরু করলে আমার হাতে ও বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক আমি জীবন বাঁচাতে চিৎকার করে দৌঁড় দিলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় আমার ১৪ বছরের ছেলেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
এদিকে জানা গেছে, ধর্মতীর্থ এলাকায় চুরি ডাকাতি’সহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কাজ প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছিল স্থানীয় গ্রামবাসী। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ডাকাত নির্মূলে নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় ডাকাত সর্দার ইদ্রিস ব্যবসায়ী রহিম’সহ অনেককে গত ১ সপ্তাহ যাবত নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এ-রই ধারাবাহিকতায় এ হামলা বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, ডাকাত সর্দার ইদ্রিস ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। ইদ্রিসের ভয়ে এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ মাতব্বরা পর্যন্ত কথা বলেন না। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষেরা।
এ বিষয়ে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, ঘটনার পর বিষয়টি জেনে ডাকাত সর্দার ইদ্রিস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ঘটনার খবর শুনে ডাকাত ইদ্রিস ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেছি। এ ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
এনএ/