20 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

আনার, বেদানা বা ডালিম—যে নামেই ডাকুন না কেন, কমবেশি সবারই পছন্দের ফল। ডালিমের খোসা ছাড়িয়ে প্রতিটি দানা বের করা খানিকটা শ্রমসাধ্য ও ধৈর্যের ব্যাপার বটে। তবে এর পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করলে হয়তো ভাববেন, এতটুকু শ্রম দেয়াই যায়। সংক্রমণ প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ বশে রাখার মতো উপকারিতা আছে ডালিমে।

১. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে ডালিম

ডালিম সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রোধ করে ত্বককে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের যাবতীয় জীবাণুকে অপসারণ করে। ডালিমের মধ্যকার অ্যালার্জিক এসিড ত্বকে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

২. ভিটামিন ‘সি’ এর ভালো উৎস

প্রতিদিন একটি ডালিম খেলে ১৭ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ শরীরে প্রবেশ করে। আমরা জানি ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। একই সঙ্গে ঠাণ্ডা ও কাশির প্রকোপ থেকে সুরক্ষা দেয়।

৩. ত্বককে রাখে তারুণ্যদীপ্ত

এর রস ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না ও ত্বকের কোষকে দীর্ঘায়ু করে। এটি কোলাজেন ও অ্যালাস্টিন উৎপাদনেও সাহায্য করে। এই দুটি উপাদানই ত্বককে সজীব ও তরুণ রাখে।

৪. ত্বকের প্রদাহ কমায়

এতে আছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকে আরাম দেয়। আরও আছে ট্রিকোসেনিক এসিড ও ওমেগা-৫ ফ্যাটি এসিড যা শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।

৫. ক্যান্সার প্রতিরোধক

এর রস ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না। বিশেষ করে মূত্রনালীর ক্যান্সার দমনে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ডালিম

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা অনায়েসে খেতে পারেন ডালিম। কারণ এতে আছে ডায়েট্রি ফাইবার যা রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে

রক্তের কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমিয়ে আনে ও রক্তে এইচডিএল নামের এক প্রকার কোলেস্ট্রল সরবরাহ করে যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও ডালিম ট্যানিন, এনেথোসায়ানিনস ও পলিফেনলসের ভালো উৎস যা আপনার হৃদয়কে রাখে সুস্থ।

৭. ব্রণ ও ব্রণের দাগ

হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে বিধায় পেট পরিষ্কার থাকে ও ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় না। এতে আছে ভিটামিন ‘সি’ যা ত্বকের তেল গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৮. হাইড্রেশন

ত্বককে হাইড্রেট করে। এক্ষেত্রে এটি গ্রিন-টির চাইতেও ভালো।

pomegranate

৯. আলজেইমার্স

আলজেইমার্সের রোগীদের জন্য এটি খুব ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও এর জুড়ি নেই।

১০. ওজন কমায়

প্রতিদিন ফলটি খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টি প্রবেশ করে ও এর মধ্যকার উপাদান শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না।

১১. পাকস্থলী

বিপাক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে। এটি ডায়েরিয়া ও বমির উপদ্রপ কমায়। এছাড়াও এটি পেটের যেকোনও সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম।

১২. রক্তনালীকে সুরক্ষিত রাখে

রক্তনালীকে সুরক্ষিত রাখে ও প্লেক জমতে দেয় না। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায় বহু অংশে।

১৩. চুল পড়া রোধ করে

মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও চুলপড়া কমায়। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝরঝরে ভাবও এনে দেয়।

দেখুন: ভিডিও ফাঁস হলো উগান্ডা ডালিমের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন