ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর টানা ৪ ঘণ্টার আগারগাঁওয়ে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে সরে গেছেন আন্দোলনকারী রিকশাচালকরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ধের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এসময় মিরপুর রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হলে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষজন।
এর আগে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, ‘এই মাত্র (দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট) আমার কাছে খবর এলো আপনাদের বিষয়টির কাগজপত্র প্রস্তুত হচ্ছে। বিকেলেই চেম্বার আদালতে উঠবে। সুতরাং আপনাদের বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
দুপুরে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক ও রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
রিকশাচালকদের বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৪টার পর রায় হলে আপনারা লিয়াজোঁ কমিটি করে আমাদের জানান, তারপর আপনাদের সঙ্গে আবার কথা বলব। আমার এখন আর কিছু বলার সুযোগ নেই। রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক ও রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
প্রতিনিধি সভায় রিকশা-ভ্যানে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে ইউনিয়নের নেতারা অভিযোগ করলে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আপনারা পাড়া-মহল্লায় কমিটি করেন, সেখানে আমার থানার ওসি থাকবে। যদি কোনও ওসি আপত্তি করেন, তবে তাকে সাসপেন্ড করা হবে। আমি চাঁদাবাজির বিপক্ষে। চাঁদাবাজির ঘটনায় যদি আমার বাহিনীর কেউ জড়িত থাকে, তবে সেটা আমার নজরে আনেন।
তিনি বলেন, মামলাযোগ্য কোনও ঘটনায় যদি ডিএমপির কোনও থানার ওসি মামলা না নেয় বা টালবাহানা করে তবে সেটা আমাকে জানান। আমি ওই ওসিকে সরিয়ে দেবো।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার দাবিতে আন্দোলন করছেন চালকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রিকশাচালকদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে বৈঠকে বসে।
গত ১৯ নভেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের পর থেকে রায় স্থগিত করার দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করে আসছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।