মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হকের প্রত্যাহার দাবিতে আবারও শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।
আজ বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর আব্দুল গনি রোডে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মূল ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর শিক্ষকরা মূল ভবনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় তাদের কর্মসূচি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, তারা ডিজিকে সরানোর আলটিমেটাম মঙ্গলবার পর্যন্ত দিয়েছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো তাকে সপদে রেখেছে। অবিলম্বে তিনি যদি প্রত্যাহার না করে, তবে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিবেন। সেই সঙ্গে তারা জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক ড. জুলফিকার হায়দারকেও প্রত্যাহারের দাবি জানান।
শিক্ষকরা বলেন, ড. এহতেশাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রীরা ধারাবাহিক আন্দোলন এবং আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তারপরেও কীভাবে তিনি মাউশির মহাপরিচালক পদে আসীন হয়েছেন, তা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের কারো বোধগম্য নয়।

এই ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মহাসচিব জাকির হোসেন, সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক বদরুল ইসলাম এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা মাউশি ঘেরাও করে ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হককে প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেন।
এনএ/