দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসক সংকট, অপর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট পরিস্থিতিকে আরো বেশি বিপদাপন্ন করে তুলছে। সংকট মোকাবেলায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বরগুনার সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল হাসান ফরহাদের কন্যা মোনালিসা জেরিন ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার কন্যা উপমাসহ ৯ জনের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। মৃত্যু ও আক্রান্তের মিছিলে বরগুনা এখন ডেঙ্গুর হটস্পট।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত বরগুনায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫শ ৬৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩শ ৮০ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১৭২ জন রোগী। মৃত্যু বরণ করেছেন ৯জন। এই রোগীর অধিকাংশই বরগুনা পৌর শহর ও সদর উপজেলার বাসিন্দা। একই সাথে জেলার পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী ও আমতলীতেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ। (গ্রাফিক্স আকারে দেখানে যেতে পারে)
বরগুনার পৌর শহরের কাঠপট্টি খাল ও আমতলারপার খাল এডিস মশার আতুরঘর। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এডিস মশা। মৃত্যুর মিছিলো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলা জুড়ে। তবুও মশক নিধন কাজ চলছে ঢিমেতালে।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মশা নিধনে পরিস্থার পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ধ্বংস করতে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করার পর থেকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। অধিকাংশ ওয়ার্ডেই শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে।
বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ ৫৮টি। অথচ এই জেলার ১২ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে মাত্র ১৮ জন ।
শীঘ্রই ঢাকা থেকে এখানে চিকিৎসক পদায়নের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্তা।
এনএ/