যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উদ্দেশ্যে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ বা ‘শেষ সতর্কতা’ জারি করেছেন। ট্রাম্প গাজায় আটক থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে এবং হামাসের নেতাদের গাজা ছেড়ে চলে যেতে সতর্ক করেছেন।

এ খবরটি বৃহস্পতিবার আল জাজিরা ও বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন,
“বন্দিদের মুক্তি না দিলে চড়া মূল্য দিতে হবে।” ট্রাম্পের বার্তায় আরো বলা হয়, “এটি হামাসের জন্য শেষ সতর্কতা। তাদের নেতৃত্ব এখনই গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আপনারা যদি বন্দিদের আটকে রাখেন, তাহলে তা আপনার জন্য খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে।”
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে যে, গাজার অবরোধের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের স্টকের খাবার দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে। ইসরায়েল গাজার উপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ধরনের খাদ্য সংকট তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প হামাস ও গাজার জনগণের উদ্দেশ্যে এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এ ধরনের হুমকি তখন এসেছে, যখন হোয়াইট হাউস প্রথমবারের মতো হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই আলোচনার লক্ষ্য হলো হামাসের কাছে আটক থাকা মার্কিন বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা। এটি একটি ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা, কারণ যুক্তরাষ্ট্র আগে কখনও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেনি। ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যাডাম বোহেলা হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। এই বৈঠকটি মূলত বন্দি মুক্তির পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে, যেখানে যুদ্ধ এবং খাদ্য সংকটের কারণে তাদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ‘শেষ সতর্কতা’ হামাসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যেহেতু এটি তাদের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
পড়ুন : তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
দেখুন : ইউনূস বললেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প অবাক হবেন |
ইম/