26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪
spot_imgspot_img

ড. ইউনূসের পাশ্চাত্য জয়, প্রাচ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে?

জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের সাইডলাইন বৈঠক। পেয়েছেন প্রায় ৭শ কোটি ডলার সহায়তার আশ্বাস। জাতিসংঘ সম্মেলন উপলক্ষ্যে চার দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিলো দেশের যেকোন সরকার প্রধানের তুলনায় ব্যস্ততম।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের জাতিসংঘ অধিবেশনকে ঘিরে নজর ছিল বিশ্বনেতাদের। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটি সবাইকে অবাক করেছে। জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিকরা বলেছেন, জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বৈঠক বিরল!

শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টনি গুতেরেস, মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা ফলকার টার্ক, আইএমএফের প্রধান, ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ পশ্চিমা নেতাদের অনেকেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এমনকি একদা বৈরি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরেীফের সঙ্গেও বেশ হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে খুনশুটি করেছেন ইউনূস।

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ড. ইউনুস বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশ পুনর্গঠনে সংস্কার ও সংষ্কার প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। অর্থনীতি ‍পুনর্গঠনেও সবার সহযোগীতা চান তিনি।

তবে সংস্কার প্রস্তাবে যেসব সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে সেসব ক্ষেত্রে কিছু শর্তের কথাও উঠে এসেছে। যা নিয়ে চিন্তার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

পুরো সফরে ড. ইউনূস নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেছেন আর পাশ্চত্য যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তি আছে প্রাচ্যে। কারণ চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। আর ভারত নিকট প্রতিবেশী।

তবে সংস্কারে আর্থিক সহায়তা কিংবা পররাষ্ট্রনীতিতে যেমন বদলই আসুক, পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা ছিলো তা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন