মেয়র-কাউন্সিলর নেই, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে চলছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাজ। মশা, যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ। নানা নাগরিক সেবাও মিলছে না। বঞ্চিত নগরবাসী যেন হাপিয়ে উঠেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় সেবার পরিমাণগত ও গুণগত মান কমেছে, বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
আগে থেকেই হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ঢাকাবাসী। যেন এই নগর মানুষের নয়। দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা, অব্যবস্থাপনাকে ভোক্তা সেবাগ্রহীতারা নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন।

অভ্যুত্থানের আগে ছিলেন দুইজন মেয়র। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানেরর পর একজন পলাতক, অন্যজন গ্রেপ্তার। পালিয়েছেন অন্যান্য নানা স্তরের কর্মকর্তারাও। তাই এখন নামমাত্র প্রশাসক বসিয়ে চলছে দায়সারা কাজ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আধা বেলার প্রশাসক থাকলেও দক্ষিণে প্রশাসক নেই প্রায় এক মাস। প্রতিদিন আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকরা। কোনো অভিযোগও দিতে পারছেন না তারা।
ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম চলছে, নেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা। দুই সিটি করপোরেশন যেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজই করছে না। অনেক এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না।
উত্তর সিটির দক্ষিণখান, উত্তরখান ও কাওলা এলাকায় অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতে মানুষের ভোগান্তি চরমে। রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের নামে চলাচলের মূল সড়ক ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় বছর খানেক ধরে। এসব ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলতে হয় কষ্ট করে। দীর্ঘদিন এসব কাজ ফেলে রাখলেও কেউই নজর দিচ্ছে না।
এছাড়া কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। সঠিক তদারকি না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নাগরিকরা, বলছেন পরিবেশবিদরা।

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, নাগরিক সুবিধাদির পরিমাণগত ও গুণগত মান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ, সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যহীন নগরায়ন ও নগর উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএ/