শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়াও আজ সন্ধ্যা ৫:৩০টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে অবস্থিত মহান মুক্তযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি চিরন্তন থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মৌন মিছিল বের হয়ে জগন্নাথ হলের অভ্যন্তরে শহীদরের স্মৃতিতে নির্মিত বধ্যভূমিতে শেষ হবে।

মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী, মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ লিটন, মো. বায়োজীদ বোস্তামী, নাজমুস সায়াদাত, মো. তহা, মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র দেবনাথ, আলাউদ্দিন জসীম এবং মো. আনিসুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী বলেন, আজ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযোজিত হয়েছিল এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা হত্যা করে জাতির অনেক কৃতী সন্তানকে। এ হত্যাযজ্ঞের একটি বড় উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করে ফেলা। কিন্তু তাদের সকল ষড়যন্ত্র বিনষ্ট করে আমরা ছিনিয়ে এনেছি আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে পারব। জাতি আজ আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ওইসব মানুষদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এনএ/