আগামী ১৫-১৮ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রশাসনের দুই জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা, যারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। তারা হলেন -মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক এবং পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ। একই সময়ে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনেরও।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সরকারের সংস্কার বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করবেন। তারা সরকারী উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন। বিশেষভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে।

নিকোল অ্যান চুলিক ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছাবেন, এবং পরদিন ১৬ এপ্রিল অ্যান্ড্রু আর হেরাপ ঢাকায় আসবেন।
এই সফরের সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও ঢাকা সফরে আসবেন। তিনি মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। সূত্র জানায়, সুসান স্টিভেনসন মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামরিক সরকারের কর্মকাণ্ড এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা সম্পর্কে মতামত বিনিময় করবেন।
এছাড়া, এই সফরের মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে মার্কিন সরকারের পরিকল্পনা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের নীতি কিভাবে প্রভাবিত করছে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, মানবাধিকার, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের এই সফরের লক্ষ্য হল দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন নীতির পুনর্বিন্যাস এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চলমান সংকটের সমাধান নিয়ে কার্যকর আলোচনা করা। বিশ্ব রাজনীতিতে এই সফরের গুরুত্ব বিশেষভাবে বেড়েছে, কারণ এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের পরবর্তী দিক নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।
এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান সম্পর্ক আরও সুসংহত হতে পারে, এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পড়ুন: স্প্রাইট মাটিতে ফেলে প্রতিবাদ মহানগর উত্তর বিএনপির
দেখুন: লাগামছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয়, ছাড়তে চায় মানুষ
ইম/