হাসিনা সরকারের পতনের পর যেন সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ অনেক ভিআইপিদের বিরুদ্ধে মামলার জোয়ার উঠেছে। সবার বিরুদ্ধেই ঢালাওভাবে হচ্ছে হত্যা মামলা। কমছে মামলার গ্রহণযোগ্যতা, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়া। প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। প্রশ উঠছে, নতুন বাংলাদেশ কী প্রতিহিংসার পথেই হাঁটছে?
এভাবেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গুলি করে মানুষ মারার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির রাজনৈতিক ব্যবহারের প্রমাণ মেলে এতে। অবধারিত হয়ে ওঠে সরকার পতন।
তারপরের শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁর দল ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। শত শত মানুষ নামে-বেনামে আসামি হয়েছেন। বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, সহিংসতায় অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ বা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে উসকানিতে। এমন নানা বিষয়ে তাই মামলা হতেই পারে।
এসব হত্যা মামলা আদালতে তুলে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে অনেককে। শুধু তাই নয়। ক্ষুব্ধ মানুষ হাতে তুলে নিচ্ছে আইন। আদলত প্রাংগনেও ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
সাবেক ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কয়েকটি যথোপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ সমর্থিত, বস্তুনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ মামলাই যথেষ্ট। ঢালাওভাবে হওয়া এসব মামলায় প্রকৃত অপরাধী পার পাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।
আগের সরকারের মতোই আইনকে হাতিয়ার বানানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রতিহিংসার জন্য আইনের অপব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এটি সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন সুষ্ঠু বিচার প্রয়োজন শুধু সেই সরকারে কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারের জন্যও আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত তৈরি করাটাই অগ্রাধিকার।