দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য তথ্য কমিশন যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এটিকে সাংবিধানিক স্বাধীন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব করা হয়।
একইসঙ্গে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত ছয় মাস ধরে দেশে তথ্য কমিশন নেই, সরকার কমিশনার নিয়োগে কোন উদ্যোগ না নেওয়ার সমালোচনা করেন ফোরামের নেতারা।
তথ্য অধিকার আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশনকে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দিয়েছে তথ্য অধিকার ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)- নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ছয় মাস ধরে দেশে তথ্য কমিশন কার্যকর নেই। এটা বিশ্বের মাঝে বিরল ও দেশের জন্য বিব্রতকর। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায়।
এসময় তথ্য অধিকার আইনে রাজনৈতিক দলগুলোকেও যুক্ত করার প্রস্তাব দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেও তথ্য অধিকার আইনের অধীনে আনা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা খুব জরুরি। রাজনৈতিক দল যদি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি না হয়, তাহলে অতীতে যা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
দেখুন:গুম কমিশনের তথ্য: শুনলেও দম বন্ধ হয়ে যায়! |
এসএম/এনএ