এক সময় পুলিশ দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পেতো। আর এখন পুলিশ দেখলে সবাই দৌড়ে কাছে আসে। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ প্রশংসা করছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের সেবায়। কারণ পুলিশিং সেবায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তাজুল ইসলাম। বিশেষ করে তিনি যে এলাকাতেই যান না কেন সাধারণ মানুষ তাকে দেখলেই তার কাছে ছুটে আসে। তিনিও সেই এলাকার মানুষের সুখ দুঃখ ও সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে গুনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন।
পীরগঞ্জ উপজেলার আইনসৃংঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি এলাকাতেই ছুটে চলেছেন ওসি তাজুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা। উপজেলার প্রতিটি এলাকার দুই পক্ষের দ্বন্দ মিটাতে বিভিন্ন ভাবে তিনি সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন। এখন উপজেলার প্রতিটি এলাকার সাধারণ মানুষ ওসি তাজুল ইসলামের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ওসি তাজুল ইসলাম গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে পীরগঞ্জ থানায় যোগদান করার পর থেকেই এই থানার আগের চিত্র তিনি পাল্টে দিয়েছেন,
থানাকে বানিয়েছেন জনগণের ভরসাস্থল। যোগদানের পর থেকেই উপজেলার আইনসৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নত করেছেন। বিশেষ করে মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ সকল অপরাধ নিষ্ক্রিয়ভাবে দমন করতে সফল হয়েছেন। থানায় আগত সেবা গ্রহিতাদের চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করান তিনি। শিশুদের দেওয়া হয় চকলেট। সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ কোন কিছু করতেই আর টাকা লাগে না। ডায়েরি ও অভিযোগ লেখার জন্য রাখা হয়েছে একজন পুুলিশ সদস্য রাইটারকে। যে কোন ঘটনায় নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ওসি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন সেবা গ্রহিতার সাথে কথা বললে তারা জানান, যে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ সেটির কার্যক্রম শুরু করে দেন ওসি। তাছাড়াও তার অফিসে ঢুকতে কারো অনুমতি লাগে না। অফিসে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলেই ওসি নিজ দায়িত্বে পর্যবেক্ষন করেন এবং বিভিন্ন ভাবে আপ্যায়ন করে থাকেন। পুলিশের এমন ব্যবহার সকল সময় থাকলে আইনসৃঙ্খলার কোন অবনতি হবে না বলেও অনেকে জানান।
তিনি যোগদানের পর থেকে এ এলাকার জনগণের কাছে পুলিশ অফিসার নয়, বরং সেবক ও বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বিপদে আপদে পুলিশি সেবা দিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের মন কেড়েছেন তিনি। জেলার মধ্যে অপরাধ প্রবণ ও ব্যস্ততম থানা পীরগঞ্জে কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার মোটিভ উদঘাটনসহ বিরোধপূর্ণ ঝামেলা গুলোর সুষ্ঠু সমাধান দিয়েছেন।
সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনবান্ধন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে পীরগঞ্জে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ওসি তাজুল ইসলাম। পীরগঞ্জ থানাকে দালালমুক্ত ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
তিনি যোগদানের পর থেকে সবমিলিয়ে নিয়মিত মামলা রেকর্ড হয়েছে পযাপ্ত পরিমাণ। এছাড়া মিথ্যা মামলা যাতে না হয় সে বিষয়ে তিনি সব সময় খেয়াল রাখেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন এবং পুলিশি সেবা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
পীরগঞ্জ থানার সচেতন নাগরিক ফায়দুল ইসলাম, আবু তারেক বাঁধন বলেন, আমরা জানি ওসি তাজুল ইসলাম এই থানায় যোগদানের পর থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ মাদক কমিয়ে আনা হয়েছে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতনার মাধ্যমে একেবারেই কমে গেছে, নেই বললেই চলে। এই থানায় তিনি যোগদানের পর থেকে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, বাল্য বিবাহ, মাদক, ইভটিজিং, মোবাইল’র অপব্যবহারসহ সচেতনামূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে থাকেন। তিনি চান এই থানার একজন মানুষও যেন হয়রানি না হয়। এজন্য তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু। মানুষের যে কোন সমস্যায় পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে। সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ভাবে মিশতে পারলে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হওয়া যায়। তাছাড়াও আমি চেষ্টা করি সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে। যে কেউ যে কোন সময় যেন তার সমস্যার কথা অনায়াসে খুলে বলতে পারেন। আর থানায় আগত সকলকে আপ্যায়ন করা হয়। কেন না মানুষ তার সমস্যা নিয়ে থানায় আসে সমাধানের লক্ষ্যে। প্রতিটি সেবা গ্রহিতার সাথে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য সুন্দর ব্যবহার করে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ছিল অমানবিক ও পক্ষপাতদুষ্ট
দেখুন: ‘খালেদা জিয়ার মানবিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার’ |
ইম/