১৫/১১/২০২৫, ২২:০০ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২২:০০ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের উপস্থিতি জনস্বার্থবিরোধী

তামাক কোম্পানিগুলোর বোর্ডে সরকারের সচিবদের উপস্থিতিকে জনস্বার্থবিরোধী ও নীতিনির্ধারণে বড় ধরনের বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা একদিকে পদক্ষেপ নিচ্ছি, কিন্তু অন্যদিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাই যখন তামাক কোম্পানির বোর্ডে থাকেন, তখন সেটা এই প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দেয়।”

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “তামাক কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত কি না, সেটি নিয়ে এখনই প্রশ্ন তোলা উচিত। কারণ, এর ফলে সরকারি নীতির সঙ্গে কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থের সংঘাত তৈরি হচ্ছে। এমন বৈপরীত্যে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ে।”

তিনি বলেন, “আমাদের অনেক আইন আছে, কিন্তু সেগুলোর প্রয়োগ হয় না। এবার তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা যুবসমাজকে এই মৃত্যুব্যাধি থেকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।”

অনুষ্ঠানে আরও উঠে আসে ই-সিগারেট ও নতুন ধরনের ধূমপান পণ্যের ভয়াবহ বিস্তারের কথা। নূরজাহান বেগম বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলো নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ নানা পণ্য বাজারে ছড়াচ্ছে। তারা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। আমরা তাদের ফাঁদে আর পা দেব না।”

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাষ্ট্রকেই তারা চাপে ফেলে দিচ্ছে। এ অবস্থায় তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ থাকলেও, দেশের ভেতরেই কিছু কোম্পানি গোপনে এর উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও ই-সিগারেটের প্রতি ভয়াবহভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে, এর কাঠামোতে বড় ধরনের সংশোধন দরকার। বর্তমান সরকার সেই উদ্দেশ্যে কাজ করছে।”

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় ৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা দেওয়া হয়। এই সম্মাননা সরকারিভাবে প্রতিবছর পালিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের অংশ হিসেবে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন: নওগাঁয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

দেখুন: তামাক কেনা-বেচায় আশি লাখ টাকা জরিমানা!

এস

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন