অবশেষে নিরবতা ভাঙলেন পোস্টার বয় সাকিব। অনুভূতি গুলো প্রকাশ করে বুঝালেন ,সেও একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। রাজনৈতিক স্বার্থে অনেক সময় ন্যায়-অন্যায় বলা যায়না। সাকিবও পারেননি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাকিব নিরব থাকায়, দেশের মানুষ বেজায় ক্ষেপেছিলো তার উপর। সাকিব সেটা বুঝতে পেরে দেশের মাটিতে পা রাখেননি এখন পর্যন্ত। কিন্তু বিদায়ের আগে অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে সাকিব শোক প্রকাশ করে বলেন ,তার বিদায়ে পাশে চান দেশের সবাইকে।
ক্রিকেট পাড়ায় শরগুল, দেশের মাটি থেকে শেষ বিদায়টা নিতেই বুঝি সাকিবের এমন দু;খ প্রকাশ। নয়তো আগে কেনো এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি সাকিব। সরকার পতনের পর মাশরাফি তার জায়গা স্পষ্ট করতে পারলেও সাকিব কেনো নিরব কবি হয়ে চুপ থেকে গেলেন।
তবে সাকিব দেশের মাটি থেকে টেস্ট খেলে বিদায় নেওয়ার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সেই পথটা ছিল কঠিন। ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছিলো সাকিবকে চাইলেই আইনি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ১০ কোটি মানুষই তার উপর ক্ষেপে থাকে, তাহলে সেই নিরাপত্তা কিভাবে সম্ভব।
সেই মাশুল সাকিবকে দিতে হচ্ছে গুনে গুনে। যে দেশের হয়ে আঠারোটা বছর ক্রিকেট খেললেন, যে দেশকে সাকিব নামটা নিয়ে গেলেন, বিশ্ব দরবারে সেই সাকিবই কিনা নিরাপত্তার কারনে পা রাখতে পারছেন না দেশের মাঠিতেই।
সাকিব যে দেশের সেরা, এমনকি বিশ্ব সেরাদের একজন সে কথা অস্বীকার করতে পারবে না কেউই। যেমনটা পারেনি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলা তামিম ইকবালও। সম্প্রতি ভারতের স্পোর্টস স্টারকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে তামিম বলেন- সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা করেছে সেটা অসাধারণ। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।