১৫/১১/২০২৫, ২১:৩৪ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২১:৩৪ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

তিস্তায় পানি বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে সতর্কতা, ভারতে রেড অ্যালার্ট

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীতে পানির স্তর বাড়তে থাকায় শনিবার (৩১ মে) রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি)। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে সিকিমের মাঙ্গান, গিয়ালশিং ও সোরেং জেলায় বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন মতে, গ্যাংটকের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগী আপডেট বা হালনাগাদ তথ্য প্রদান অব্যাহত রাখবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঙ্গান জেলার জন্য রেড অ্যালার্ট গ্যাংটক জেলার মধ্যে অবস্থিত ডিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী অববাহিকাকে অন্তর্ভূক্ত করতে পারে, বিশেষ করে উত্তর সিকিমে বন্যার মতো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে।

জেলা প্রশাসকের বার্তায় বলা হয়েছে, গ্যাংটক জেলার আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সমস্ত নোডাল অফিসারদের উচ্চ সতর্কতায় থাকতে এবং তিস্তা নদীর এই অঞ্চলে নিযুক্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুরে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৩ দিন বাড়বে তিস্তার পানি। ফলে ঈদুল আজহা সামনে করে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষের মধ্যে বন্যা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, উজানে ভারতের সিকিম ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিস্তার পানির স্তর হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদী তীরবর্তী কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে ভাঙন ও অন্যদিক বন্যার আশঙ্কায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছে।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ১৫ মিটার, যা বিপদসীমার মাত্র এক মিটার নিচে।

অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে রেকর্ড হয়েছে ২৮ দশমিক ১১ মিটার, যেখানে বিপদসীমা ২৯ দশমিক ৩০ মিটার। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি আগামী ৩ দিন বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে তিস্তার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রংপুর বিভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে রংপুরে দুদিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার দিন ও রাতে রংপুর বিভাগে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও দিনে ভারী বৃষ্টি হয়নি।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন : তিস্তা: খোলা দরপত্র আহ্বানের পরামর্শ বিশ্লেষকদের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন