ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের পরিস্থিতি। খুলেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস। তবে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পুলিশের কার্যক্রম। সীমিত পরিসরে দু-একটি থানা খুললেও এখনও কার্যক্রম শুরু হয়নি বেশিরভাগ থানার। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে রাজধানীজুড়ে। রাত হলেই সৃষ্টি হচ্ছে ডাকাত আতঙ্ক।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা সরকার। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের পিকআপ ভ্যান, মোটর সাইকেল ও এপিসি।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলেও এখনও কাজে ফেরেননি পুলিশ সদস্যরা। ফলে নগরজুড়ে নিরাপত্তাহীনতা আর উদ্বেগ জেঁকে বসেছে। রাত হলেই ঢাকার অলি-গলিতে সৃষ্টি হচ্ছে ডাকাত আতঙ্ক। দল বেঁধে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
তবে খুব দ্রুতই কাজে ফিরবে পুলিশ সদস্যরা, এমনটাই চাওয়া নগরবাসীর। সেই সাথে পুলিশ বাহিনী যেন কারো হাতিয়ার না হয় সেই আশাবাদও ব্যক্ত করেন তারা ।
এদিকে, সেনা পাহারায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও থানার কার্যক্রম। সকালে থানার কর্মকর্তাদের উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই কার্যক্রম। তবে অন্যান্য থানায় সেনা সদস্যরা পাহারায় থাকলেও নেই কোনো পুলিশি কার্যক্রম।