ভুমিদস্যু আর দখলদারদের কবলে মিরপুর বেড়িবাঁধ। সংযোগ সড়কের নামে লিজ নিয়ে দখলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত শত একর সরকারী জমি। অথচ বৈধভাবে লিজ চেয়েও বছরের পর বছর ঘুরছে অনেকেই, পাচ্ছেন না সমাধান।
দখলদারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছে একটি চক্র, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দখলদার উচ্ছেদে অচিরেই অভিযান চালানোর কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শহরের সমন্বিত বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। এর দুপাশে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ২ হাজার একর জমি। যার বেশিরভাগটাই দখল নিয়েছে ভূমিদূস্যরা। নির্মাণ করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বালুর গদিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে নদীর পাড়ে রয়েছে অনেক ব্যাক্তিমালিকাধীন জায়গা। মূল সড়ক থেকে সেই জায়গায় যেতে সরকারী জায়গা পার হতে হয়। বোর্ডের স্থাবর সম্পত্ত্বি ব্যবস্থাপনায় জমি লিজ নিয়ে সংযোগ সড়ক করার অনুমোদন থাকলেও সবাই পাচ্ছে না লিজ।
প্রভাবশালীরা ঠিকই ক্ষমতা খাটিয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন লিজ। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজিরের বোটক্লাব সংযোগ সড়ক লিজ নিয়ে ব্যবহার করছে কয়েক একর জায়গা। অনেকেই সাবেক সরকারের নেতাদের নামে জমি দখল করে লিজের কথা বললেও মেলেনি প্রমাণ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চোখের সামনে এতোসব চলছে, অথচ কেউ কিছু বলছে না কেন? অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মাসিক মোটা অংকের টাকা নিচ্ছে একটি চক্র।
সরকারের শত শত একর জমি বেদখল, কিন্তু নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ। দখলের বিষয়টি বোর্ডের কাছেও ওপেন সিক্রেট। বোর্ড বলছে অচিরেই চালানো হবে অভিযান।
প্রভাবশালী দখলদাররা অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ দখল করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করায় নষ্ট হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ, অকার্যকর হয়ে পড়েছে বাঁধ। নিয়ম ও চাহিদা অনুযায়ী জমিগুলো লিজ না দেয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
টিএ/