কানাডার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গিয়েছে দাপুটে আর্জেন্টিনার চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন পুরো ম্যাচে আধিপত্য রেখেই। যার কারণে আজ বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকালে নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা।
২০১৫ সাল থেকেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে নিয়মিত মুখ হলো আর্জেন্টিনা। বাদ গিয়েছিল শুধু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা। যেবারে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আলবিসেলেস্তেদের। এরপর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপাটাই জয় করে ফেলে তারা। এবার তাদের সামনে সুযোগ টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জয়ের।
আগামীকালের উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে ফাইনালে নামবে লিওনেল মেসির দল।
কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের মাত্র ২২ মিনিটে প্রথম লিড নেয় গত আসরের কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা। মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের বাড়িয়ে দেওয়া পাসে শট নিয়ে বল জালে পাঠান হুলিয়ান আলভারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল পায় আলবিসেলেস্তেরা। এবার ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার তোলা আক্রমণ কানাডার বক্স থেকে ফিরে বাইরে থাকা এনেজোর কাছে আসে। জোরের ওপর ভলি নেন এই মিডফিল্ডার। মেসি ওই শটে আলতো করে পা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
এবারের কোপা আমেরিকার আসরে মেসির এটিই প্রথম গোল। এছাড়া তিনি ১৮৬তম ম্যাচে এসে পেয়েছেন তার ১০৯তম আন্তর্জাতিক গোল। কোপা আমেরিকায় এটি তার ১৪তম গোল। এছাড়া দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন মেসি। ২০০৭ সাল থেকে অংশ নেওয়া কোপা আমেরিকায় সাত আসরের ছয়টিতে গোল পেয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের লিড নেওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় কানাডা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণ লাইনে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো ও লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজের দেয়ালে আটকে যায় তারা। তবুও নয়টি আক্রমণ করেছে কানাডা। যার তিনটি সুযোগ ও দুটি শট থেকে গোলও পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দুর্দান্ত দক্ষতায দুটি শটই ফিরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ১০ বছরে আর্জেন্টিনা খেলবে তাদের ৬ষ্ঠ ফাইনাল। সোমবার আরও একটি ফাইনাল জয়ের সুযোগ আছে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হাতে।