সিরিজের আগের দুই ম্যাচে দুইশ রানও করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজও হেরে গেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সিরিজের শেষ ম্যাচটা হারলেই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হতো অজিদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেই জ্বলে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচেই ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরিতে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের পর বল হাতে ধংসযজ্ঞ চালালেন কনর কনোলি। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাল জয়ে সিরিজ শেষ করলো অস্ট্রেলিয়া।
রোববার (২৪ আগস্ট) ম্যাকাইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩১ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাট করা চার ব্যাটারই কমপক্ষে অর্ধশত রান করেছেন। তাদের মধ্যে দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড-মিচেল মার্শ ও ওয়ান ডাউনে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান ক্যামেরন গ্রিন। অ্যালেক্স ক্যারি চারে নেমে ৫০ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪.৪ ওভারে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায়। কনর কনোলি ৬ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।
এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৩০৯ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এটাই রানের ব্যবধানে অজিদের সবচেয়ে বড় জয়।
৪৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নবম ওভারের প্রথম বলে ৫০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। মার্করাম ২, রিকেলটন ১১, অধিনায়ক বাভুমা ১৯ ও স্ট্যাবস ১ রান করে বিদায় নেন। বার্টলেট ও অ্যাবোট এই ৪ উইকেট ভাগাভাগি করেন।
পঞ্চম উইকেটে টনি ডি জর্জি ও দেভাল্ড ব্রেভিস ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন কনোলি। ৩০ বলে ৩৩ রান করা ডি জর্জিকে ফিরিয়ে ধংসযজ্ঞ শুরু করেন কনোলি।
একে একে ফেরান ঝড় তোলা দেভাল্ড ব্রেভিস (২৮ বলে ৪৯), মুল্ডার (৫), করবিন বশ (১৭) কেশভ মহারাজকে (২)। শেষ ব্যাটার মাপাখাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে দেন জাম্পা।
এই সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমেই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন কনোলি। ২২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের এটি পঞ্চম ওয়ানডে।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

