২১/০৬/২০২৫, ২৩:২৭ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২১/০৬/২০২৫, ২৩:২৭ অপরাহ্ণ

দাবি আদায়ে রাতেও রাস্তায় জবি শিক্ষার্থীরা, শুক্রবার থেকে গণঅনশন

আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবি আদায়ে অনড় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় আটকে আন্দোলন করছেন তারা।

এতে কাকরাইল মোড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কাকরাইল মোড়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান অবস্থান কর্মসূচি আজও চলবে। এতে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ পরিবার।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। আগামীকাল শুক্রবার সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী-শিক্ষক সমাবেশ হবে। বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন শুরু হবে।


রাতেও নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, মিন্টো রোড থেকে কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড় থেকে কাকরাইল অভিমুখে রাস্তাগুলোয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। মৎস্য ভবন মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ মোড় পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকায় সেসব সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো ঘুরে কাকরাইল হয়ে চলাচল করছে। এতে কাকরাইল মোড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, দুই দিন ধরে কাকরাইল মসজিদ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। একই কথা বলেন বাসচালকরাও।

এদিকে তিন দফা দাবিতে বুধবার (১৪ মে) দিনভর আন্দোলনের পর রাতেও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন কাকরাইল এলাকায় অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দল আসেন তারা। মৎস্যভবন মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন তারা। এছাড়া কাকরাইল মসজিদ মোড়েও ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছেড়ে যাবেন না।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই লংমার্চে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।

পড়ুন : দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন