১৩/০৫/২০২৫, ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ
28.7 C
Dhaka
১৩/০৫/২০২৫, ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ

দাবি পূরন করেই ছাত্ররা ক্লাসরুমে ফিরবে

দীর্ঘদিন ধরেই ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এখনো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ কোনো স্পষ্ট উদ্যোগও দেখা যায়নি। যৌক্তিক দাবিগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যতই নাটক মঞ্চায়িত করা হোক না কেন আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি পূরন করেই ছাত্ররা ক্লাসরুমে ফিরবে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছয় দফা দাবিতে ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ মিনারে আসেন। পরে সেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে সমাবেশ আসেন তারা।

সমাবেশে ‘আমি কে তুমি কে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারি, ‘তেরোর হাতিয়া, দেশ গড়ার হাতিয়ার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’ ‘এক হও, এক হও, পলিটেকনিক এক হও’ ‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার’ ‘ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ‘শিক্ষার্থীদের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও’সহ নানা স্লোগানে দেন শিক্ষার্থীরা।

কম্পিউটার টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী কৌশিক সিদ্দিকী সাব্বির বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করা কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি নাটক মঞ্চায়িত করা হয়। মূলত তারা আমাদের ব্লকেট কর্মসূচি ঠেকাতে এই ধরনের নাটক করে। তারপরও তারা দুই দিন সময় নিয়েও আমাদের দাবি পূরনে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। তাই দ্রুত দাবিগুলো পূরন করা না হলে সারাদেশে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেন তারা।

নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী রাজিবুল হক রোজ বলেন, আমাদের ৬ দফা মেনে নেওয়া না হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হোক। আর আমাদের দাবি মানা না হলে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে কারিগরি অধিদফতর ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় তালা দেওয়া হবে। এমনকি হাইকোর্ট তালাবদ্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন।

পড়ুন: প্রাইম এশিয়ার ছাত্র হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেখুন: ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ও বিচারের সর্বশেষ খবর

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন