“নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করি, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের (এসএএফ-বি) সহযোগিতায় ও নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেম (নাইস) প্রকল্পের আওতায় পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পুষ্টির সচেতনতা নিয়ে পর্যটন মটেল এর কনফারেন্স রুমে ২০টি স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ (ছাত্র-ছাত্রী) ও মেন্টর শিক্ষক-শিকিক্ষকা এবং পৌরসভার ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে কর্মশালাতে আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান ট্রেইনার হিসেবে পুষ্টির বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করেন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষনা ও প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট এর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ডা: মোঃ সাদেকুল ইসলাম।

সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (সাফ) বাংলাদেশ ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ বদরুল আলম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান আলোচক নাইস প্রকল্পের ম্যানেজার মোশফেকুল আলম তালুকদার, আরও বক্তব্য রাখেন ইসডিও ফোকাল পার্সন ও এসিস্টেন্ট প্রোগাম কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, জেলার নিরাপদ খাদ্য অফিসার গৌতম কুমার সাহা, সাফ বাংলাদেশ এগ্রোইকোলজি কো-অর্ডিনেটর মোঃ রফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ। এই সময় কর্মশালাতে উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ রিফাত হাসান, ইএসডিও প্রজেক্ট অফিসার মোঃ ইসমাইল এবং ফাইন্যান্স ও এডমিন অফিসার মোঃ হোসেন আলীসহ সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাগন।
বক্তারা প্রশিক্ষন কর্মশালাতে বলেন, সঠিক ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহন করলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। খাদ্যের সারাংশই হচ্ছে পুষ্টি। যা শরীরে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। শরীরে অপুষ্টি জনিত সমস্যা হলে খাটো হওয়া, ওজনহীনতা, আগাম চুল-দাড়ি পাকা ও স্মৃতি শক্তি লোপ পায়। এইজন্য আমাদেরকে প্রতিনিয়ত খাদ্যের যে ৬টি উপাদান থাকে তা গ্রহন করতে হবে। শিশুদের মেধার বিকাশে প্রোটিনের বিকল্প নেই।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে ২০টি স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ (ছাত্র-ছাত্রী) ও মেন্টর শিক্ষক-শিকিক্ষকা এবং পৌরসভার ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়। সঞ্চালকের দায়িত্ব রাখেন, ইএসডিওর প্রজেক্ট অফিসার সুবর্ণা ইসলাম।
পড়ুন : দিনাজপুরে সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে চলছে ভাড়া বাণিজ্য