২১/০৫/২০২৫, ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষায় বিতরণ ও ফেরতকৃত প্রজেক্টরসহ মালামাল নষ্টের দায় কার

দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৫শ এর অধিক প্রজেক্টর, লেজার, কেবল, মাল্টিপ্লাগ ও কিছু সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কিন্তু ব্যবহারের ৯ মাস পর শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশে উক্ত সামগ্রী কিছু উপজেলার স্কুলগুলো ফেরতও আনেন বর্তমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এসব সামগ্রীর অনেকাংশেই নষ্ট ও পুনরায় বিতরণ যোগ্য নয়। তবে এসব মালামাল নষ্টের দায় কে নেবে? প্রশ্ন শিক্ষক ও সচেতন মহলের।

জানা যায়, এসব ইলেকট্রিক সামগ্রী ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই ও কোনরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই তড়িঘডি করে বিদ্যালয়ে বিতরণ করেন। দীর্ঘ ৯ মাস ব্যবহারের পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে বিদ্যালয় থেকে ব্যবহৃত মালামালগুলো ফেরত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, বারবার পরিবহন ও দেয়া নেয়ার ফলে অনেক প্রজেক্টর ও সংশ্লিষ্ট কিছু সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে আবার কিছু সামগ্রী চুরি হয়েছে।


বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায, এসব মালামালের বেশ কিছু নষ্ট হয়ে গেছে, কিছু চুরি হয়ে গেছে। ফেরতকৃত মালামাল নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ে প্রেরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এসব ব্যবহৃত মালামাল অন্য জেলার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবেন কি? নাকি এসব মালামাল নিলামে দেওয়া হবে? তাহলে কি কোটি কোটি টাকা মূল্যের জনগণের টাকার সরকারি সম্পদ ৯ মাস ব্যবহারের পর কর্তৃপক্ষ/সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিবর্গের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে? এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের এখনো সনাক্ত করা হয়নি বা কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও সচেতন মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা।


এর আগে দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এম শাহজাহান সিদ্দিক এর মৌখিক নির্দেশে ৬ টি উপজেলার স্কুল থেকে বিতরণকৃত প্রজেক্টরসহ বিভিন্ন মালামাল ৯ মাস পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। পিইডিপি-৪ এর আওতায় ২০২৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণকৃত প্রজেক্টর, স্ক্রিন, ব্যাগ ও ক্যাবল দীর্ঘ ৯ মাস ব্যবহারের পর এই এপ্রিল মাসে ফেরত নেওয়া হয়েছে। তার কোন ডকুমেন্ট বা চিঠি দেননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর কোন চিঠি ছাড়া শুধু মৌখিক নির্দেশে বিরল উপজেলাসহ বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, খানসামা,বিরামপুর ও হাকিমপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগন উক্ত মালামাল ফেরত দিলেন,তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।

এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এম শাহজাহান সিদ্দিক এর মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলে তিনি আর রিসিভ না করে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পড়ুন : দিনাজপুরে পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন