দিনাজপুরের বীরগঞ্জে থানা মার্কেটের সামনে চায়ের দোকান উচ্ছেদ কে কেন্দ্র করে ধর্মঘট ডেকেছে দোকান মালিকগণ।
২ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার সময় দোকান ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে মার্কেটের ২য় তলার সিড়ির সামনে সাহেব নামে যুবকের চায়ের দোকানে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।
এসএ টেলিকম এর প্রোপাইটর আবু সাঈদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা থানায় মৌখিকভাবে ওসির কাছে অভিযোগ দিয়েছি। সেই চায়ের দোকানের কারণে আমাদের মার্কেটের বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে এবং দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি দেখা যাচ্ছে না। এই কারণে কাস্টমার আসতে পারে না। সেই চায়ের দোকান মালিক রোজা ঈদের পর কিছুদিন সময় চেয়েছিল। সে সময়ের মধ্যে দোকানটি সরিয়ে নেয়নি। পুলিশের মাধ্যমে সেই দোকান মালিককে একাধিকবার বললেও সে দোকান সরিয়ে নেয়নি। তাই আমরা সকল দোকান মালিকের সম্মতিতে দোকানের মালপাতি বারান্দায় রাখতে গিয়ে, আমাদেরকে অতর্কিত হামলা করে এবং আমাকে মারধর করে। আমি তার কাছে নাকি ৫০ হাজার টাকা চেয়েছি এবং দলীয় ব্যানারে দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়িয়েছে তাই তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটার সুষ্ঠু বিচার ও সে দোকানটি উচ্ছেদ না হলে আমরা দোকানপাট খুলবো না।
মার্কেট কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় দেবনাথ বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের মার্কেটের সামনে বৈধ দোকানগুলি উচ্ছেদ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমাদের দাবি না মানলে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তবে এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় থানায় উভয়পক্ষ বসার কথা রয়েছে।
মার্কেট কমিটির তোফাজ্জল হোসেন বিপুল বলেন, দোকানটি সিঁড়ির সামনে হওয়ার কারণে উপর তলায় ওঠার জন্য সমস্যায় পড়তে হয়। সে দোকানটি নিলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোন টাকা দাবি করা হয়নি এটি মিথ্যা।
চায়ের দোকান মালিক সায়েব আলী বলেন, আমি ২০১১ সাল থেকে থানা মার্কেটে চায়ের দোকানটি করে আসছি। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে থানা মার্কেটের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছে। তাকে টাকা দেয়নি তাই শুক্রবার রাতে আমার দোকান ভাঙচুর করে। এতে করে আমার ক্ষতি হয়, আমি গরিব মানুষ, আমার সংসার সেই দোকান দিয়ে চলে। আমি প্রতিমাসে থানার লোককে দেড় হাজার টাকা ভাড়া দেই। আমি এটা সুষ্ঠু বিচার এর জন্য দাবি জানাচ্ছি।
