২১/০৫/২০২৫, ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

দিনাজপুরে গাবুড়া বাজারে জমে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাজার

জমে উঠতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাজার দিনাজপুর সদর উপজেলার গাবুড়া। তবে এবার টমেটোর বাজার দর গত বারের তুলনায় কম হওয়ায় কপালের দুশ্চিন্তা ভাঁজ কৃষকের। সার কীটনাশক সহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগের মত সুবিধা করতে পারছে না, বলে জানান তারা। এদিকে কৃষকের কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই বাজার থেকে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি টাকার টমেটো কেনা-বেচা হয় এই বাজারে।


দেশের সবচেয়ে বড় টমেটোর বাজার দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী গাবুড়া টমেটোর বাজার। কৃষকেরা বিভিন্ন এলাকা থেকে টমেটো নিয়ে আসে এই বাজারে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হওয়া টমেটোর হাট চলে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে টমেটো সংগ্রহ করে খাঁচায় সাজিয়ে সাইকেল, ভ্যানে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে এই হাটে। পাইকাররা কৃষকের কাছ থেকে এসব টমেটো কিনে তা বাছাই করে বাক্স করে ট্রাক বোছাই করে স্বযন্তে নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিদিন এই টমেটো বাজার থেকে রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ৫০-৬০টি ট্রাক।

ব্যবসায়ীরা বলছেন ফলন ভালো হওয়ায় এবার কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।প্রকারভেদে প্রতি মণ টমেটো কিনছেন ৩৫০-৫৫০ টাকা দরে। গ্রীষ্মকালীন এই টমেটো কেনা-বেচা শুরুতে কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় খুশি নয় টমেটো চাষীরা। সার কীটনাশক সহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে টমেটোর বর্তমান বাজারে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে। টমেটো চাষীরা বলছেন এই অঞ্চলে টমেটো সংগ্রহরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার হলে বেশ উপকৃত হবে টমেটো চাষীরা।

পাশাপাশি প্রতি মণ টমেটো ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি করলে তারা লাভবান হবেন বলে জানালেন কৃষকেরা। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাফর ইকবাল বলেন- গত বছর দিনাজপুর জেলায় নাবী জাতীয় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ হয়। ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার কৃষকেরা আলু সহ অন্যান্য আবাদ নিয়ে ধাবিত হওয়ায় দিনাজপুর এ আবাদ কিছুটা কমেছে। কৃষকেরা জাতে ভালো ফলন পায়, মাঠ পর্যায়ে কৃষি।

পড়ুন: দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষায় বিতরণ ও ফেরতকৃত প্রজেক্টরসহ মালামাল নষ্টের দায় কার

দেখুন: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সুপেয় পানির সংকট, জনজীবন বিপর্যস্ত |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন