দিনাজপুরের বিরলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সব ভারতবর্ষে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে।
নিহত ভবেশ চন্দ্র রায় উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত.তারকানন্দ রায়ের ছেলে।
পুলিশ বলছে,ভবেশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বজনরা জানিয়েছে, গেল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে একদল দূর্বৃত্তকারী ভবেশ চন্দ্র রায়কে তার বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রাত ১০ টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় একটি ভ্যানযোগে বাড়ীর পাশে স্থানীয় ফুলবাড়ী হাটে পাঠিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ভবেশকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছবুর রাতেই মৃত ভবেশ চন্দ্র রায়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে ভবেশের স্ত্রী শান্তনা রানী জানান,গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল অনুমান ৫ টার দিকে প্রতিবেশী যুবক মো. রতন পিতা- আব্দুস সাত্তারের, সং-শহর গ্রাম,আখতারুল ইসলাম আতিক, পিতা- আব্দুল কাদের সাং- বাসুদেবপুর, মোঃ রুবেল ইসলাম পিতা- মোঃ আব্দুল সাত্তার ও মুন্না ইসলাম, পিতা- আব্দুল মাজেদ, সং-নরসিংপাড়া দুটি মোটর সাইকেলযোগে ভবেশের বাড়িতে আসে। এক সাথে নাড়াবাড়ি হাটে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। রতন এবং আতিক বয়সে ভবেশের চেয়ে অন্তত ১৫-১৮ বছরের ছোট হলেও তারা নিয়মিত একসাথে আড্ডা দেন, হাটে যান এবং ভবেশের বাড়িতে নিয়মিত তাদের যাওয়া আসা ছিলো।
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানিয়েছেন,বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনী ব্যবস্থা নিবে।
এদিকে,ভবেশের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোন অভিযোগ করা হয়নি।
পড়ুন: দিনাজপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ,ছেলে সন্তানের জন্ম,অতঃপর মামলা
দেখুন: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সুপেয় পানির সংকট, জনজীবন বিপর্যস্ত |
ইম/