দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো আজ। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি ট্রেনটি, সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল প্রান্তে আসে। একই সময়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেস টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি ট্রেনের যাত্রীরা।
জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে, যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষে, আজ থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতুটি চালু হওয়ায় উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিংএর সময় বাঁচার পাশাপাশি, ব্যবসা বাণিজ্যেও গতি ফিরবে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি যাত্রীরা।
স্টেশন মাস্টার জানান, ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, শুরুতে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। অনুমতি সাপেক্ষ্যে গতি বাড়ানো হবে।
এ সেতুর কারণে উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার রেল যোগাযোগের নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

২০২০ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর পর, ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। খরচ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যার ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশিয় উৎস থেকে। আর ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি।
এনএ/