গেলো কয়েকদিনের বন্যার পানির তোড়ে অনেকের ভিটেমাটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এরই মধ্যে পানি কমলেও, বাড়ছে লাশের সারি। দেশের ১১ জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক মৃত্যুর খবর এলেও স্থানীয়রা বলছেন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সচল না হওয়ায় দুর্গম এলাকার মৃত্যু সংবাদ প্রশাসনের কাছে আসছে না।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার পানি একটু একটু করে কমতে শুরু করলেও বাড়তে শুরু করেছে হাহাকার।
এখনো দেশের এগারো জেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বন্যার পানি। যারা ঘরে ফিরতে শুরু করছেন তারা সহায় সম্বল হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব।
দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকা জেলা লক্ষীপুর। ডুবে থাকা কাঁচা ও আধাপাকা ঘরগুলো ভেঙে পড়ছে এই জেলায়। কেউ খোলা আকাশে নিচে, আবার কেউ এক কাপড়ে আশ্রয় কেন্দ্র বা অন্যের বাড়িতে উঠেছেন। জেলার ৫৮ টি ইউনিয়ন ও ৪ টি পৌরসভায় সরকারি হিসেবে পানিবন্দি আছে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ।
আরেক জেলা ফেনী। বন্যার পানি তছনছ করে দিয়েছে এই এলাকার মানুষের ছকে বাঁধা জীবন। এতটাই তাণ্ডব চালিয়ে গেছে যে, পানির তোড়ে অনেকের ভিটেমাটি প্রায় নিশ্চিহ্ন। এই জেলায় কমতে শুরু করেছে পানি তবে বাড়তে শুরু করেছে লাশের সারি। মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হলে দূর্গম এলাকার মৃত্যুর চিত্র আরো পাওয়া যাবে বলে ধারনা সাধারণ মানুষের।
শুধু লক্ষীপুর কিংবা ফেনী নয় নোয়াখালি, কুমিল্লা, খাগড়াছাড়িসহ দেশের ১১ জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো পানিবন্দি লাখো মানুষ।
আর এসব দুর্গত এলাকায় নতুন বিপদ পানিবাহিত রোগবালাই। বিশুদ্ধ পানির এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে পানিবন্দি মানুষ এখন চর্ম রোগ, ডায়রিয়া, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরকারি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখের বেশি মানুষ। আর এখনো পানিবন্দি রয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।