পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্গাপূজার পর ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। মাঝে মাঝে আপনাদের যে শঙ্কা তৈরি হয় এবং আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসে আমরা সেগুলোকে আমলে নিতে চাই।’
আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ।
আইজিপি বলেন, ‘আগামীকাল রোববার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হবে। বিসর্জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। পূজা যেন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপে প্রায় সোয়া দুই লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর ৭৫ হাজার সদস্য প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। আমরা যখনই পূজা সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাচ্ছি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূজাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৪টি মামলা, ২৯টি জিডি এবং ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’