ধ্বংসাবশেষ মুছে দিয়ে নতুন উদ্যোমে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে মেঘনা পাড়ে অবস্থিত চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ থানা।
২৩ এপ্রিল বুধবার লঞ্চঘাট এলাকায় গেলে থানায় এ সৌন্দর্যের ছোঁয়া দেখা যায়। এরমধ্যে জ্বল জ্বল করে জ্বলে থাকা নৌ থানার নতুন ডিজিটাল নামফলকটি থানা প্রাঙ্গণে বেশ আলো ছড়াতে দেখা যায়। এছাড়াও থানায় কর্মরত নৌ পুলিশের কার্যক্রমে নতুনত্ব এনেছে আসামী আনা নেয়া এবং আইনী কাজে ব্যবহারের জন্য থানার সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি নীল রঙের পুলিশের গাড়ী।
এ বিষয়ে কথা হলে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ. কে. এম. এস. ইকবাল বলেন, এই থানাটিতে ওসির ব্যবহারের জন্য নতুন করে একটি গাড়ী সংযোজিত হয়েছে। সেটিই বাইরে রাখা। যা আগে কখনো ছিলোনা। আমিই নৌ থানার প্রথম ওসি যে কিনা আইনী কাজে স্থায়ীভাবে অফিসিয়াল গাড়ী ব্যবহারের সুযোগ পেলাম।
তিনি বলেন, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট এই নৌ থানা উত্তেজিত হয়ে দুষ্কৃতিরা পুড়িয়ে দেয়। এরপর আমি ১৮ অক্টোবর অফিসার ইনচার্জ হিসেবে এখানে যোগদান করে থানাটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাই। পরে উর্দ্ধতনের সহায়তায় ধীরে ধীরে থানাটি দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ শুরু করি। এখন জেলা প্রশাসনের অনুদানে থানায় নতুন টিলের চাল বসানোর কাজ চলছে। একটি ডিজিটাল নামফলক বসানো হয়েছে। ইচ্ছে আছে অপরাধ দমনে থানা এড়িয়ায় দ্রুত কয়েকটি সিসি ক্যামেড়া স্থাপন করাবো।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি এ. কে. এম. এস. ইকবাল আরও বলেন, নৌ পুলিশের কোন রকমের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সফলতারসহিত আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এখন পর্যন্ত জাটকা ও মা ইলিশের অভিযান পার করেছি। এছাড়াও ব্যস্ততম লঞ্চঘাটে যাত্রীসেবাসহ শৃঙ্খলা ফেরাতেও সক্ষম হয়েছি। সেবাপ্রার্থীরা যাতে নির্বিগ্নে থানায় এসে সেবা নিতে পারে সেজন্যও আরও বেশকিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি কাজ করছি।
পড়ুন : চাঁদপুরের বাংলাবাজারে দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোয় ভুল স্বীকার