কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন বাজারে এসেছে শখে লালন-পালন করা অনেক গরু। এসব গরুর রয়েছে মজার-মজার নাম। নবাব, সম্রাট, প্রিন্স, লাল বাদশাহ, লালমণিসহ নানা বাহারি নামের পশু আকর্ষণ বাড়াচ্ছে হাটের।
সিলেটের প্রধান পশুর হাট কাজিরবাজার। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বাজারে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে, ঈদ উপলক্ষে এসেছে শখে লালন-পালন করা অনেক পশু।
হাটের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে কালা নবাব, লাল বাদশাহ আর লালমণি। দাম হাঁকা হচ্ছে যথাক্রমে ১২ লাখ, ৮ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা।
গোপালগঞ্জে এবার কুরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত সম্রাট ও নবাব। শখের বসে গতবছর ষাড় দুটি কিনেছিলেন, সদর উপজেলার ঘোষেরচর গ্রামের খামারি এরশাদ ও নাইম। ওষুধ ছাড়া দেশীয় খাবার খাইয়ে ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের।
সম্রাট ও নবাবের দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ লাখ টাকা করে। ষাঁড় দুটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক ক্রেতারা।
এদিকে, মাদারীপুরে ২৫ মণ ওজনের প্রিন্স মামুন নজর কাড়ছে সবার। টিকটকার প্রিন্স মামুনের নামের সঙ্গে মিল রেখে গরুটির নাম রাখা হয়েছে। ২৫ মণ ওজনের গরুটি দুই বছর ধরে খামারে বড় হয়েছে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে।
গরুটি দেখতে এখন প্রতিদিনই আয়উব আলী বেপারীর খামারে ভিড় করছেন দূরদূরন্তের ক্রেতারা।
মাদারীপুর সদর উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকায় বড় হওয়া প্রিন্স মামুনের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।