দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। নদ-নদীর পানি বেড়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জে, তলিয়েছে নিম্নাঞ্চল। যমুনা পাড়ে ভাঙন আতঙ্কে মানুষ। বন্যায় ফেনীতে স্থগিত হয়েছে দুটি উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা। এদিকে, পার্বত্য এলাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস।
সিলেটের সবকটি নদীর পানি বাড়ছে। পিয়াইন ও গোয়াইন নদী ছাড়া অন্য নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে। ভারি বৃষ্টিতে গোয়াইনঘাট সীমান্তে পানিবন্দি ১৯ হাজার মানুষ।
সুনামগঞ্জে বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি। বন্যায় শত হেক্টর আউশ ধান তলিয়েছে, ভেসে গেছে মাছ। ১২ উপজেলায় ১৫০ কিলোমিটার সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে এইচএসসি ও আলীম পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের তিন জায়গা ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি অন্তত ২০ হাজার মানুষ। শেরপুরেও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙেছে, পানিবন্দি ৩০ গ্রামের মানুষ।
সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙনে ৪০ বাড়িঘর বিলীন। শাহজাদপুর উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচে।
টানা বৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ। টানা বর্ষণে জেলার ৩টি নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি জমায় সাজেকে আটকা পড়েছেন ৬ শতাধিক পর্যটক।