১৫/১১/২০২৫, ২১:৩৩ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২১:৩৩ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

দেশে ফিরলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম

বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে তুরস্ক হয়ে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বিমানবন্দরে পৌঁছালে শহিদুল আলমকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা। এ সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গাজার মানুষ এখনো আক্রান্ত, তাদের ওপর নির্যাতন চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।

ইসরায়েলিদের বর্বর আচরণের নিন্দা জানিয়ে শহিদুল আলম আরও বলেন, আমাকে আটকের সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরাইলি সেনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং পাসপোর্টটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। এমন ন্যাক্কারজনক কাজ আমাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। একটি দেশের পাসপোর্টকে এভাবে অপমান করা অপরাধ, আর তারা এমন অপমান করে পার পেয়ে যাবে তা মেনে নেয়া যায় না।

তিনি দেশবাসী, অন্তর্বর্তী সরকার, তুরস্ক সরকার ও টার্কিশ এয়ারলাইন্সসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানান তার মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য।

এর আগে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানান, ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকামুখী শহিদুল আলমের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ছাড়ে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংসতা বন্ধ ও গাজায় অবরোধ ভাঙার দাবিতে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক মানবিক নৌযাত্রায় যোগ দেন শহিদুল আলম। ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামের আরেক সংগঠনের আটটি নৌযানসহ মোট নয়টি নৌযানের এই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।

গত বুধবার (৮ অক্টোবর) গাজা অভিমুখী ওই নৌবহরে ইসরাইলি সেনারা আক্রমণ চালিয়ে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে, যার মধ্যে ছিলেন শহিদুল আলমও।

শহিদুল আলমকে আটক করার পরপরই বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেয়।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন :ডিএমপির ঊর্ধ্বতন পদে বড় রদবদল

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন