34.5 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ঈদের পর এপ্রিলেই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় অর্ধযুগ পর লন্ডনে পরিবারের সাথে ঈদ করবেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ-উদযাপন করা হয়নি তার। চিকিৎসকদের পরামর্শে এপ্রিলের যে কোন সময় তিনি দেশে ফিরবেন, জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।

২০১৭ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে সেখানে পরিবারের সাথে  ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরপর অর্ধযুগের বেশি ছিলেন কারাগারে।

দীর্ঘদিন পর এবার তিনি ঈদ উদযাপন করবেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। গত জানুয়ারীতে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। আট থেকে ২৪ জানুয়ারী দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। এরপর থেকে আছেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসা।

সেখানে বড় ছেলে পুত্রবধু ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তিনি।

খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য আসেন। সে সময় তিনি তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। এর পর আর পরিবারের সদস্যদের সাথে আর ঈদ উদযাপন করা হয়নি দীর্ঘদিন তার কারাবাসের কারণে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দ্যা লন্ডন ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের অধিনে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত দুই মাসে বাসায় ফেরার পর তাকে আর হাসপাতালে যেতে হয়নি। ঈদের পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি এপ্রিলের যেকোন দিন দেশে ফিরবেন বলেও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন দুর্ণীতির মামলায় সাজা পেয়ে দুই বছরের অধিক সময় কারাগারে ছিলেন। সে সময় তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে  বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কাছে দফায় দফায় আবেদন করলেও কোন সাড়া মেলেনি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। পরে আট জানুয়ারী তিনি লন্ডন যান চিকিৎসার জন্য।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

এনএ/

দেখুন: তারেক রহমানকে নিয়েই দেশে ফিরবেন বেগম জিয়া

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন