সারা দেশে শেখ পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ধ্বংস করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জেলায় ভাংচুর হয়েছে দলটির কার্যালয়ে।
দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সদস্যরা। এসময় তারা নানা শ্লোগান দেন
রাতেই বরিশালে সাদিক আব্দুল্লাহর সেরনিয়াবাত ভবন ও জীবনানন্দ দাশ সড়কের আমির হোসেন আমুর বাস ভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় জনতা।
খুলনায় ‘শেখ বাড়ি’তে রাতভর দুটি বুলডোজার চালিয়ে প্রধান ফটক, দেয়ালসহ বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ আবু নাসেরের।
কুষ্টিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়ি।
সারাদেশের মত রাজশাহীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়িতে আগুন দিয়েছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
ভোলায় সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বাসায় হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয় ছাত্রজনতা।
এছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
অন্যান্য জেলায় মতো চুয়াডাঙ্গায়ও রাতভর বিক্ষোভ করে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা।
নরসিংদিসহ বেশ কয়েকটি জেলার আদালতেও সকালে বিক্ষোভ করেন আইনিজীবীরা। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে শেখ মুজিব বা শেখ হাসিনার মুরাল ধংস করার ঘটনাও ঘটেছে।
এনএ/