ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সেবা করাই ছিল অপরাধ। সেই দোষে শট গানের বুলেট দিয়ে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় পেট। চার মাস পরেও শরীরে আরো দুইশো বুলেটের টুকরো। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতুলকে নিতে হবে বিদেশ। কিন্তু প্রশ্ন হল তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে কে?
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বেরিয়ে পড়েন রাতুল। অন্যের জীবন বাঁচালেও তার মানবিক এ কাজ অন্ধকার নিয়ে আসে তার জীবনে।
নামাজের সময়ে সাময়িক গোলাগুলি বন্ধ করতে রাজধানীর আজমপুরে দুই জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাতুল। যে ছবি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু কিছুক্ষন যেতে না যেতেই তার আরেকটি রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে পরে ফেইসবুকে। কি হয়েছিলো সে দিন?
তবুও ভাবছিলেন দেশের কথা
গুলিতে পেট চিড়ে বেরিয়ে যাওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হাতে নিয়েও দমে জাননি রাতুল। তখনও ভেবেছেন দেশের কথা, বাবা-মায়ের কথা।
পেটে এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন বুলেটের দুইশো স্প্লিন্টারের পীড়া। নাগরিক টিভিকে রাতুল জানান, দেশের হয়ে বিজয়ী হলেও এমন শরীর নিয়ে বাবা মায়ের কাছে ছোট হয়ে আছেন তিনি। তাই ফিরতে চান সুস্থ জীবনে।
তবে বাবা মাকে নিয়ে রাতুলের সন্দেহ অমূলক। বরং ছেলেকে নিয়ে অনেক গর্বিত তার বাবা-মা দু’জনই। কিন্ত শঙ্কায় আছেন উন্নত চিকিৎসা নিয়ে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আহতদের লিস্টে নাম থাকলেও তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাননি রাতুল। সমন্বয়ক-উপদেষ্টা বা সংশ্লিষ্ট কেউই নেননি খোঁজ। তাই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় আছে সংগ্রামী এই পরিবারটি।