দেশজুড়ে চলছে পাকা ধান কাটার আমেজ। হাওরা থেকে বিল পর্যন্ত সারাদেশে বোরো ধান উঠছে কৃষকের ঘরে। ভালো আবহাওয়ায় উন্নত জাতের ধানের বাম্পার ফলনে খুশি তাঁরা। তবে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট নিয়ে রয়েছে শঙ্কাও।
সুনামগঞ্জের হাওরে এবার ১৩ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। হাওরজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ।
সুনামগঞ্জের ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এবার ৫০টি হাওরে ৫৯৬ কিলোমিটার করেছে।
মাদারীপুরেও এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধানের ফলন হয়েছে। এলাকাজুড়ে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। তবে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চফলনশীল ধান আগেভাগেই পেকে যাওয়ায় তাপদাহেও ফসলের ক্ষতি হয়নি।
জয়পুরহাটে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ততা। ৬৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে উতপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ। ধানের ভালো দাম পেয়ে চাষীরাও খুশি।
টাঙ্গাইলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শ্রমিক সংকটে কিছুটা ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এবার ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
তবে অনুকূল পরিবেশ, উন্নত বীজ ও যন্ত্রের ব্যবহারে শ্রমিক সংকটেও কৃষকের খরচ কমেছে—জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে জীবন-জীবিকা নির্বাহের অন্যতম অবলম্বন বোরো ফসল রক্ষায়, সরকারি কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।
এনএ/