সরকার পতনের পর দেশের প্রায় সব সেক্টরের মত বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাতেও। এ পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প মালিকরা। বলছেন, সংকট উত্তরণে চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমসের সঙ্গে সমন্বয়ের পাশাপাশি সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ জরুরি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে টালমাটাল দেশ। কয়েক সপ্তাহের লাগাতার অচলাবস্থায় শংকায় দেশের তৈরি পোশাক খাত। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে চালু হয়েছে বেশিরভাগ পোশাক কারখানা।
পোশাক কারখানার মালিকরা বলছেন, যখন সর্বোচ্চ বিদেশি অর্ডার আসার সময়, তখন দেশে চলছে চরম অস্থিরতা। এতে প্রভাব পড়ছে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে। এ অবস্থায় সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ চান তৈরী পোশাক শিল্প মালিকরা।
ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারতসহ অন্য দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে রপ্তানি ক্রয়াদেশ পেতে পিছিয়ে পড়ার শংকা জানিয়ে সব পক্ষের সহায়তা চেয়েছেন বিজিএমইএর এই নেতা।
চট্টগ্রামে প্রায় ৭ লাখ কর্মী তৈরী পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বিজিএমইএর সদস্য তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ৬৬৪টি। এরমধ্যে সচল ৬০০টি। সিইপিজেডে মোট কারখানা ১৪টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডে কারখানার সংখ্যা ৫৫টি।