২৩/০৫/২০২৫, ২১:৩৬ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ২১:৩৬ অপরাহ্ণ

নতুন নীতিমালার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রীদের

রাজধানীর আজিমপুরের ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীরা কলেজ প্রশাসনের নতুন আবাসিক হল নীতিমালার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টা নাগাদ ছাত্রীরা তাদের আবাসিক হলের নতুন কিছু নীতিমারার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে — ক্যাম্পাসের মূল ফটক রাত ৯টার পরিবর্তে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা।

জানা গেছে, কলেজ প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন রাত ৯টার মধ্যে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলে হাজিরা দিতে হবে। এই নিয়ম সংশোধনের দাবিতেই মূলত ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ বলে জানা গেছে।

এছাড়াও, সম্প্রতি প্রণীত আবাসিক হলের নীতিমালার অন্যান্য বেশ কিছু ধারা নিয়েও ছাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নতুন নীতিমালায় কক্ষে কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হিটার, রাইস কুকার, হেয়ার স্ট্রেইটনার, ইলেকট্রনিক কেটলি, রুম হিটার, এয়ার কুলার, ফ্রিজার ইত্যাদি পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং জরিমানাও ধার্য করা হবে।

এছাড়া ফ্রিজার, এয়ারকুলার ও রুম হিটারের জন্য ১০০০ টাকা এবং রাইস কুকার, হিটার বা ওভেন অথবা ইনডাকশন চুলার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। কেটলি, হেয়ার স্ট্রেইটনার, ইস্ত্রি ও ওয়াটার হিটারের জন্য ৩০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর বিপরীতে ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে সাশ্রয়ী মূল্যের লন্ড্রি ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, নতুন নিয়মে মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষার মেয়াদ তিন মাস অতিক্রম করলে ছাত্রীদের ব্যবস্থাপনা ফির ৫০ শতাংশ এবং পাঁচ মাসের বেশি হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে। ছাত্রীরা এর বিরোধিতা করে বলছেন, পাঁচ মাসের ঊর্ধ্বে গেলে ৫০ শতাংশ টাকাই রাখা উচিত, অন্যথায় মাস অনুযায়ী টাকা নেওয়া হোক এবং সময় শেষ হওয়ার আগে ব্যাংক ড্রাফটের জন্য চাপ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

ছুটির সময় ছাত্রীদের হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি যেতে বাধ্য করা এবং ছুটি শেষে ফিরে এসে সংরক্ষিত খাতায় স্বাক্ষর করার নিয়মও মানতেও নারাজ ছাত্রীরা। একটানা ১৫ দিনের বেশি ছুটি মঞ্জুর না করার নিয়ম সংশোধন করে দুই ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে হল খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ছাত্রীরা আরও জানান, ডাইনিংয়ে সকলের জন্য খাবার বাধ্যতামূলক এবং ডাইনিং হল থেকে খাবার সংগ্রহ করে সেখানেই খাওয়ার নিয়মও প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রীরা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ক্যান্টিনের খাবারের মান শতভাগ নিশ্চিত করার পরই এই নিয়ম কার্যকর করা উচিত।

এছাড়াও, রাতে কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে স্থানীয় অভিভাবকের উপস্থিতিতে বাইরে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার নিয়মের সমালোচনা করে ছাত্রীরা বলেছেন, অতিরিক্ত অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে না নিয়ে অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করা অযৌক্তিক। তারা হলের দায়িত্বরত শিক্ষকদের অসুস্থ ছাত্রীদের পাশে থাকার দাবি জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে হোস্টেলে মূল্যবান সামগ্রী (স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ), মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অতিরিক্ত টাকা আনা যাবে না এবং এসব হারালে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না– এই নিয়মেরও বিরোধিতা করেছেন ছাত্রীরা। তাদের দাবি, পড়ালেখার সাথে সরাসরি জড়িত জিনিসপত্র হলে রাখার অনুমতি দিতে হবে এবং চুরি রোধে হলে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

পড়ুন : সাত কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন