দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে তরুণদের আন্দোলনে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপিতেও লেগেছে পালাবদলের হাওয়া। দলকে আরো সক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আনা হচ্ছে তরুণদের। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, রাজনৈতিক মেরুকরণে তরুণদেরকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তারা।
বিএনপি ২০১২ থেকেই ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন শুরু করে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর আন্দোলন আরো বেগবান করার চেষ্টা করে দলটি।
তবে যত কর্মসূচিই দিয়েছে, তা সফল করতে পারেনি দলটি। গত নির্বাচনের দুই বছর আগে দলের তরুণদের উজ্জীবিত করার জন্য সারাদেশে তারুণ্যের সমাবেশও করে দলটি। এছাড়াও দলটির পক্ষ থেকে আন্দোলন সফল করতে তরুণদের উপরেই বেশী অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
এর পরেও গেলবছরের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ তৎকালীন সরকারের কূটচালে ব্যর্থ হয়। নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলনের নতুন কর্মসুচি থাকলেও দমন পীড়নের কারণে এগুতে পারেনি দলটি।
সবশেষ গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার মুক্ত হয় বাংলাদেশ। এর পর এখন চলছে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ। বিএনপিও নিজেদের দল গুছাচ্ছে। আন্দোলনে ব্যর্থ নেতাদের বাদ দিয়ে ত্যাগী তরুণ নেতাদের সামনে আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সহযোগী সংগঠনগুলোতে গুরুত্বপুর্ণ স্থানে তাদেরকে সামনে আনা হচ্ছে।
আবার নতুন নির্বাচনসহ যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের সামনে রাখবে দল, এমন প্রত্যাশা করছেন নবীনরা।
আর দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন রাজনৈতিক ভাবে এগুতে হলে তরুণদের বিকল্প নাই।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজনীতিতে বিএনপিকে আরো শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে তরুণদের মুল্যায়ন করা হবে।