১৫/১১/২০২৫, ২২:০৮ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২২:০৮ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয় : তারেক রহমান

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের টানা ৪৮ ঘণ্টার ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির সমাপনী জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে সোমবার থেকে রংপুরের পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করছেন তিস্তাপাড়ের সর্বস্তরের মানুষ।

বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‌উত্তরাঞ্চলের তিস্তাপাড়ের পানিবঞ্চিত মানুষেরা আজ সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী, এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয়। এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য, এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্য। অথচ আমরা দেখছি, আন্তর্জাতিক তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আজকে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

ভারতের বৈষম্যমূলক আচরণ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করেই চলেছে। আপনাদের সকলের জানা আছে, আজ প্রায় পঞ্চাশ বছর হলো ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি। এখন আবার তিস্তা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আমাদের প্রতিবেশী উজানের গজলডোবায় একটি বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তার স্বাভাবিক পানিপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। তাদের এই অপ্রতিবেশীমূলক আচরণের কারণে আজকে উত্তরাঞ্চলের লাখো-কোটি জনগণ বন্যায় খরায় দুর্বিষহ জীবন পার করছে।

তিনি আরও বলেন, পানির অভাবে তিস্তার বুকে আজকে ধূধূ বালুচর। একদিকে পানির অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল। আবার কখনো হঠাৎ করেই উজান থেকে ছেড়ে দিচ্ছে পানি, দুদিন আগে যেমনটা হয়েছে। আর সেই পানির কারণে বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। কৃষকের আবাদি ফসল ভাসিয়ে দিচ্ছে। এমনকি বছরে তিনবারও বন্যা হয়েছে এই অঞ্চলে। প্রত্যেক বছর বন্যার কারণে নদীভাঙন হচ্ছে। শস্যের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ-কোটি টাকা।

শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানো প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট এই দেশ থেকে একজন পালিয়ে গেছে। একটা খুনি এই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। স্বৈরাচার এই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একটা কথা বলেছিল_‘ভারতকে যা দিয়েছি সেটি তারা সারাজীবন মনে রাখবে’। এই ভারত শুধু পলাতক স্বৈরাচারকেই মনে রেখেছে বাংলাদেশের জনগণকে তারা মনে রাখেনি। পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া ভারত বাংলাদেশকে কিছুই দেয়নি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : যশোর বিএনপির মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন