চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে কোন জেলে নামলে ঐসব জেলেদের প্ররোচনাকারী হিসেবে যদি কোন জনপ্রতিনিধির নাম পাওয়া যায় তাহলে তার নাম মামলায় দেওয়া হবে। আমাদের কাছে জাটকা ধরতে জেলেদের নদীতে নামাতে উৎসাহ প্রদানকারী হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেশ ক’জন জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে। তাদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতিতে জাটকা রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করা হবে।
৮ এপ্রিল মঙ্গলবার নীলকমল বার তহবিলের মেঘনার চরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধনীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত শুরু হওয়া জাটকা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, হাইমচরে জাটকা ইলিশ সবচেয়ে বেশি বিচরণ করে। আমরা সকলে বলে থাকি ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। তাই এই বাড়িতে জাটকা ইলিশ নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে সকল জেলেদের সহায়তা দরকার। আমি সবাইকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার এম ফজলুল হক।
বক্তারা বলেন, জাটকা হচ্ছে ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট আকারের ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশ কমপক্ষে ৪০-৫০ সেন্টিমিটার ও ২ কেজির অধিক হলে ৬০-৬২ সেন্টিমিটার হবে। তাই জাটকা যা বড় হয় সে জন্যই জাটকা সংগ্রহ ও বিক্রিতে এই নিষেধাজ্ঞা। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের মাধ্যমে জাটকাকে ইলিশে রূপান্তর করবো এই হউক আমাদের অঙ্গিকার।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষার সভাপতিত্বে এবং হাইমচরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আশরাফুল হক, নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কংকন কুমার বিশ্বাস, নীলকমল ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান মনির শিকদারসহ জেলে প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পড়ুন: ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
দেখুন: সাতক্ষীরায় নদী ভাঙনে ঈদ আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে |
ইম/