নোয়াখালীর বামনী নদীর ভাঙনে ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। চোখের সামনে নদীর পেটে যাচ্ছে বাড়িঘর, স্কুল-বাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
মেঘনা, বামনী ও ফেনী ছোট নদীর মোহনায় অবস্থিত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ। উপজেলার চরএলাহী ও চর ফকিরা ইউনিয়নে গত কয়েক বছরে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এরই মধ্যে ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অন্তত ২৫ হাজার পরিবার।
বামনী নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি, বসতবাড়ি, স্কুল, বাজার, মসজিদ-মাদ্রাসা। আসছে বর্ষায় ভাঙন আরো ভয়াবহ হওয়ার আতঙ্কে স্থানীয়রা।
ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ, বামনী নদীর ভাঙন প্রতিরোধে চরএলাহী এলাকায় একটি রেগুলেটর নির্মাণ এবং বিকল্প একটি খাল খনন করা হয় কয়েক বছর আগে। কথা ছিল রেগুলেটরের কাজ শেষ হলে নদীতে হবে বাঁধ। কিন্তু সেই ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি আজও।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বামনী নদী থেকে চর কচ্ছপিয়া আলগী খাল দিয়ে, অবৈধভাবে চলছে বালু বাহী ট্র্যাংকার। এতে ভাঙনের তীব্রতা আরো বাড়ছে।
ভাঙন রোধে বর্ষার আগেই পাঁচ কিলোমিটার ব্লক নির্মাণ ও দ্রুত রেগুলেটর চালুর দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা জানালেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
শুধু আশ্বাস নয়, ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দারা।
এনএ/