নদীভাঙনে আবারও দুর্দশায় পড়েছে উপকূল ও হাওরাঞ্চলের মানুষ। আগুনমুখা নদীর ভাঙনে পটুয়াখালীর চালিতাবুনিয়া গ্রামের অনেক পরিবার সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে ভাঙনে সড়ক ও ব্রিজ ধসে পড়ায় ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
আগুনমুখা নদীর ভাঙনে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে চালিতাবুনিয়া। গত দশ বছরে শত শত পরিবার হারিয়েছে ভিটেমাটি। কেউ চলে গেছে অন্য জায়গায়, কেউ নদীপাড়ে কোনোমতে টিকে আছে। দুর্বল বাঁধ আর জোয়ারের ঢেউয়ের সঙ্গে চলছে টিকে থাকার লড়াই।
চালিতাবুনিয়ার অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখন শেকড়হীন। কারও প্রিয়জনের কবরও গেছে নদীগর্ভে। টেকসই বাঁধ ও নদীতীর রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা সেওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।
চালিতাবুনিয়া রক্ষায় ব্লক বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করার কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈলদাহ নদীর ভাঙনে সড়ক ও ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। বিপাকে পড়েছেন কৃষক থেকে শিক্ষার্থী সবাই।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
এনএ/