নারায়ণগঞ্জে এর সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেছেন তিনজন। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু সুমাইয়া (১৮ মাস) মারা যান। এর আগে, শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে, হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা তিনজনে পৌঁছেছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৩ মার্চ রাতে দগ্ধ অবস্থায় মোট ৮ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ছিলেন রিকশাচালক মো. হান্নান, তার স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী, তাদের সন্তান সাব্বির, সামিয়া ও জান্নাত, এবং অপর একটি পরিবারের সদস্য সোহাগ, তার স্ত্রী রুপালি বেগম এবং একমাত্র শিশু কন্যা সুমাইয়া।
হান্নান এবং সুমাইয়া দুজনই গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন। হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং সুমাইয়ার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাদের মধ্যে হান্নান গত শুক্রবার মারা যান। এদিকে, শিশুটি শনিবার সকালে মারা যায়।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আহতদের মধ্যে রুপালী বেগমও গুরুতর দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়। রুপালীর মৃত্যু রোববার ভোরে হয়, যার ফলে মৃতের সংখ্যা তিনে পৌঁছায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কিছু পরিবার সদস্য, যেমন রুপালীর স্বামী সোহাগ, হান্নানের স্ত্রী নূরজাহান আক্তার লাকী, এবং তাদের সন্তান জান্নাত, সামিয়া ও সাব্বির। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে ৩ মার্চ রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার একটি টিনশেডের বাড়িতে। গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুইটি পরিবারের আট সদস্যকে গুরুতর দগ্ধ করে। নিহতদের মধ্যে আরও একটি শিশু, সুমাইয়া (১৮ মাস) ছিল।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
গ্যাস লিকেজের ঘটনায় আহতদের অধিকাংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে শিশুদের চিকিৎসায় অধিক মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং কর্তৃপক্ষ দগ্ধদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এসির কমপ্রেসর বিস্ফোরণে নিহত ২
দেখুন: ৬ কোটি টাকার বিক্রির আশা নারায়ণগঞ্জের ফুল চাষীদের
ইম/