25.1 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

নারী দিবসে পাহাড়ের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পাহাড়েও পালিত হয়েছে এই দিবসটি। তবে ব্যতিক্রমীই ভাবে নারী দিবস পালন করেছে বেসরকারি সংস্থা বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি ( বিএনকেএস) ও ডিয়াকোনিয়া প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ বছর পর এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজন করায় খুশি পাহাড়ের প্রতিটি নারীরা।

আজ শনিবার থানচি বলীপাড়া ইউনিয়নের নাইংক্ষ্যং পাড়ার সাঙ্গু নদীর ঘাটে দিবসটি উপলক্ষ্যে পাহাড়ের নারীদের নৌকা বাইচ ও সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ অর্থায়নের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘বলীপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি'(বিএনকেএস) আয়োজনে নারী দিবসের ব্যতিক্রমীই উদ্যেগ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা। এছাড়াও থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার, বিএনকেএস উপ নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমাসহ নারী পুরুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এই দিবসটি উপলক্ষ্যে দুর্গম উপজেলা থানচি বলিপাড়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যং পাড়া গ্রামে নারীদের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে উৎসব মুখরিত হয়ে উঠে সাঙ্গু নদী চর। আগমন ঘটেছে শতাধিক উৎসুক জনতা। পাহাড়িয়া নারীরা এই দিবসটিকে ঘিরে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে।

এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ৪ টি ও সাতার প্রতিযোগিতায় ২টি দল পাহাড়ে বসবাসরত শতাধিক নারীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নানা রঙের পোশাক পড়ে ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনে উচ্ছ্বাসিত এলাকার মানুষ ও প্রতিযোগিরা। এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নাইক্ষ্যং পাড়া দল ও সাতারে মাপ্রুচিং মারমা। পরে প্রতিযোগিতাদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

কিশোরীদের সাঁতার প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অর্জন করেছে মাপ্রুচিং মারমা। তিনি বলেন, নারী দিবসের “বিএনকেএস”র এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই। আমি অনেক খুশি এবং প্রথম স্থান ও অর্জন করেছি।

নৌকা বাইচের প্রথম স্থান অর্জনকারী নাইক্ষ্যং পাড়া দলনেতা মাউসাং মারমা বলেন, আমরা অনেক খুশী হয়েছি। প্রত্যেকদিন কাজের ব্যস্ত নিয়ে থাকি কিন্তু আজকের এমন প্রতিযোগীতায় খুব প্রসংশনীয়। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যৎতে আরো আয়োজন করার আহ্বান রইল।

বান্দরবানের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘বলীপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি'(বিএনকেএস)’র উপ- নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমা বলেন, দাতা সংস্থা ডিয়াকোনিয়া এর যৌথ আয়োজনে আমরা পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিযেছি। এর মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যে সমাজে প্রত্যেকটা কাজে সমান পারদর্শী সেটি তুলে ধরতে এমনটা ব্যতিক্রমী আযোজন। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে নারীদের নিয়ে আরো নানা কর্মসূচি নেয়া পরিকল্পনা রয়েছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য উবাথোয়াই মার্মা বলেন, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আমাদের ঐতিহ্যে। বহুদিন পর এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া এ সংস্কৃতি আবার পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি। আর সব জায়গাতে নারীদের বিচরণ ছিল। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতার কারনে তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি পাইনি। তাই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নারীদের অধিকার ও স্বীকৃতি প্রতিফলন ঘটবে বলে এটাই প্রত্যাশা।

পড়ুন : বান্দরবানে উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন