26.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

নারীর অধিকার হুমকির মুখে: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার হুমকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা প্রতি বৈষম্য নতুন নতুন হুমকির কারণে আরও তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, তাদের প্রতি বৈষম্য এখন আরও প্রকট হচ্ছে, বিশেষ করে ডিজিটাল টুলগুলো যেভাবে কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিচ্ছে, পক্ষপাত বাড়িয়ে তুলছে এবং হয়রানিকে উসকে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শরীর বর্তমানে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অনলাইনে সহিংসতা বাস্তব জীবনের সহিংসতায় পরিণত হচ্ছে, যা জন্য আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সমান অধিকারকে মূলধারায় আনার পরিবর্তে, বর্তমানে আমরা উগ্রতা ও বিদ্বেষকে মূলধারায় দেখতে পাচ্ছি, যা নারীদের পশ্চাৎপদ অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে। গুতেরেস বলেন, লিঙ্গ সমতা শুধু ন্যায্যতার বিষয় নয়, এটি ক্ষমতার বিষয়। এটি নির্ধারণ করে কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে বসবে এবং কে বাইরে থাকবে। এটি সেই কাঠামোগুলো ভেঙে ফেলার ব্যাপার, যা বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা যাতে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পারে,

সেই জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। গুতেরেসের বক্তব্য অনুসরণ করে জাতিসংঘের নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহোসও বলেন, অধিকার রক্ষায় এই মুহূর্তে লড়াই করা আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলেও তাদের সংকল্প আগের চেয়ে আরও দৃঢ় ও অটল রয়েছে।

গুতেরেস বিশ্ববাসীকে অধিকার সুরক্ষায় সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি শুধু মানবাধিকার নয়, বরং এটি একটি উন্নত এবং সবার জন্য কল্যাণকর পৃথিবী গড়ার বিষয়। বিশ্বে যেখানে অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে, সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে যেন তারা এ লড়াইয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং পুরুষের মধ্যে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে এবং অধিকারের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়।

পড়ুন: দিবসে পাহাড়ের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

দেখুন: কোন বয়সী পুরুষের প্রতি দুর্বল থাকে ?

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন