প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নাসার প্রধান বিজ্ঞানী এবং কয়েকজন বিজ্ঞানীকে বরখাস্ত করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণাকে দুর্বল করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নাসা এ ঘোষণা দেয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৩ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত জলবায়ুবিদ ক্যাথরিন ক্যালভিন, যিনি জাতিসংঘের জলবায়ু প্রতিবেদন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

নাসার মুখপাত্র শেরিল ওয়ার্নার জানিয়েছেন,
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সংস্থাটি তার কর্মীবাহিনী পুনর্গঠন করতে শুরু করেছে। এ উদ্যোগটি ‘আরআইএফ’ নামে পরিচিত এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে সংস্থার কার্যক্রমে শক্তি হ্রাস করা। তিনি আরো বলেন, ১০ মার্চ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জানানো হয়েছিল যে তারা নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছাঁটাই হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, বায়ুবাহিত এবং স্থলভিত্তিক জলবায়ু গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংস্থাটি উন্নত জলবায়ু মডেল তৈরি, উপগ্রহের মাধ্যমে পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষক ও জনসাধারণের জন্য ওপেন-সোর্স ডেটা সরবরাহ করে আসছে।
তবে, ট্রাম্পের প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিজ্ঞানকে ‘ভুয়া’ বা ‘অপবিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং জলবায়ু গবেষণাকে দুর্বল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই পদক্ষেপও তার প্রশাসনের জলবায়ু নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ক্যাথরিন ক্যালভিনের মতো বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে গত মাসে চীনে অনুষ্ঠিত একটি জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়, যা আরও একবার ট্রাম্পের প্রশাসনের জলবায়ু গবেষণায় আগ্রহের অভাবকে প্রদর্শন করে। ট্রাম্পের উদ্দেশ্য হচ্ছেএকটি আবিষ্কারধর্মী সংস্থা হিসেবে দেখতে, যেখানে জলবায়ু গবেষণার মতো প্রকল্পগুলি আরও কম গুরুত্ব পাবে।
এদিকে, পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এনওএএ (ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর কর্মীদেরও ছাঁটাই করেছে এবং এই ধারা আরও চলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
পড়ুন : ঢাকায় এলেন প্রধান নভোচারী আকাবা
দেখুন : পৃথিবী সুরক্ষায় গ্রহাণুতেপ্রথম আঘাত |
ইম/