অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই একটি বিবৃতি দেওয়ার কারণে এ মামলা দেয়া হয়েছে। সেই বিবৃতিটি অভিনয়শিল্পী সংঘের পেডে দেয়া হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের স্বাক্ষর করা ছিল। মামলার ৫৫ ও ৫৬ নাম্বার আসামির তালিকায় নাসিম ও রওনকের নাম রয়েছে।
এতে আরও অনেকজনকেই আসামী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মাঈনুল ইসলাম নিখিল, ইলিয়াস মোল্লা, এম আরাফাত, সাবিনা আক্তার তুহিন, এস এম মোখলেসুর রহমান প্রমুখ। মামলাটি ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ ঢাকার সিএমএম আদালতে দায়ের করেন মো. নবীর হোসেন, পিতা : সিরাজুল হক। সে মিরপুরের পূর্ব কল্যাণপুরের বাসিন্দা।
আওয়ামী সরকারের শাসনামলে শেখ হাসিনার তোষামোদি করে অনেকেই সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সেই তালিকায় নাসিম ও রওনকের নামও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নাটকের শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র নামও। এ সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান আওয়ামী সরকারের পক্ষে প্রত্যক্ষ কর্মকাণ্ড চালিয়ে সরকারের স্নেহধন্য হয়েছিলেন। সে সময় বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের যেকজন সদস্য বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তাদের মধ্যে আহসান হাবিব নাসিমও রয়েছে। এদিকে জুলাই থেকে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতা যখন দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করে তখনও অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতৃবৃন্দ ছিলেন এ আন্দোলনের বিপক্ষে। ছাত্রদের আন্দোলের বিপক্ষে থেকে তারা শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য নিজেদের অফিসিয়াল প্যাডেও বিবৃতি দেয়। যেখানে সভাপতি নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনকের স্বাক্ষর রয়েছে।
পড়ুন : ধানমন্ডি ৩২-এ সেই ভাঙা বাড়ির সামনে ছবি তুলে যা বললেন ন্যান্সি